মোঃ আনোয়ার সুলতান, স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
আশুলিয়ায় ঝুট ব্যবসা দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় ১২জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত কয়েকজনসহ আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভুগী কাইয়ূম খান। মামলা নং- ৫২।
মামলায় আসামীরা হলেন, ১. মোঃ রাজু (২৭) পিতা-মোঃ আমিন মাদবর, ২. মোঃ সবুজ (২৫) পিতা-মোঃ শাহাজ উদ্দিন, ৩. আল ইসলাম (৩০) পিতা-মৃত ইয়াকুব আলী, ৪. মোঃ আরাফাত (৩৩) পিতা-মৃত সোনা মিয়া, ৫. মোঃ সেলিম (২৫) পিতা-মোঃ আলফাজ উদ্দিন, ৬. মোঃ হাসান (২৩) পিতা-মোঃ আমিন মাদবর, ৭. মোঃ সিজান (২৮) পিতা-মৃত শাহিন, ৮. নূর আলম (২৮) পিতা-অজ্ঞাত, ৯. মোঃ মারুফ (২০) পিতা- ইউসুফ মল্লিক, ১০. মোঃ আব্দুল আলিম (৩৫) পিতা-মৃত ইয়াকুব আলী, ১১. মোঃ সোহাগ (২০) পিতা- শাহাজ উদ্দিন, ১২. মোঃ রহিম (৪০) পিতা-মৃত সোনা মিয়া। সবাই দক্ষিণ গাজিরচট এলাকার বাসিন্দা।
এর আগে গত ২০শে ফেব্রুয়ারি সকালে আশুলিয়ার দক্ষিণ গাজিরচট আরিয়ার মোড় এলাকায় ঝুট ব্যবসা দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় যুবলীগ নেতা কাইয়ুম খানসহ ৪ জন আহত হয়।
আহতরা হলেন- ১. ধামসোনা ইউনিয়ন যুবলীগের ১ নং সাংগঠনিক সম্পাদক কাইয়ুম খাঁন। ২. সোহাস মুন্সী। ৩. আনোয়ার হোসেন ও ৪. রায়হান।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গার্মেন্টস ওয়েস্টেজ এক্সোসোরিজ এর ব্যবসা করে ভুক্তভোগী কাইয়ূম খান। চুক্তিপত্রের মাধ্যমে আশুলিয়ার দক্ষিণ গাজিরচট আরিয়ারার মোড়স্থ এসএআর ইন্টারন্যাশনাল ক্লথিং ফ্যাক্টরী থেকে ওয়েস্টেজ মালামাল ক্রয় করেন তিনি। গত
রোববার (২০শে ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার সময় কারখানা থেকে মালামাল বের করা হচ্ছিল। এসময় প্রতিপক্ষের স্থানীয় আমিন মাদবর, সবুজ, রাজু, আরাফাত, সেলিম, নুরা, আল ইসলাম, মারুফ, রাসেল ও সিজানের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন ঝুট ব্যবসায়ী কাইয়ুম ও তার লোকজনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় তারা প্রতিরোধ করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এসময় লাঠি সোঠা, লোহার রড, ছ্যান, জিআই পাইপ ও দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে হামলা করে সন্ত্রাসীরা। এ সংঘর্ষে অন্তত ৪ জন আহত হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
আহত ঝুট ব্যবসায়ী মো. কাইয়ূম খান বলেন, আমি ২০১৯ সাল থেকে এই কারখানায় লিখিত চুক্তির মাধ্যমে ঝুট ব্যবসা করে আসছি। গত ৬ মাস আগে স্থানীয় আমিন মাতবর ও তার লোকজন জোর করে ঝুট নামাতে চায়। থানায় অভিযোগ দিতে তারা আর ঝামেলা করবেনা বলে জানায়। কিন্তু এতোদিন পর হঠাৎ করে তারা ১৫-২০ হামলায় চালায়। এই হামলায় সোহাগের বা হাত-পায়ে ও আনোয়র এবং রায়হানের মাথায় আঘাত পায়।
এবিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ- পরিদর্শক (এস আই) আসওয়াদুর রহমান বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply